বিকেএসপিতে তামিম-সুবাস

তামিম ইকবালের সামনে বৃষ্টিই যা একটু বাধা হতে পারল! তা-ও ক্ষণিকের জন্য। কাল বিকেএসপিতে ক্রিকেট কোচিং স্কুলের (সিসিএস) বিপক্ষে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সুবাস ছড়িয়েছেন বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ওপেনার। তুলে নিয়েছেন এবারের লিগে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। তামিমের সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে জয়ের সঙ্গে সুপার লিগও নিশ্চিত করেছে আবাহনী।
১৯ এপ্রিল ফতুল্লায় প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ১৩৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে প্রতিপক্ষকে সতর্কবার্তাই দিয়েছিলেন তামিম। লিগে ৯০, ৬৩, ৫৫, ৫৪ রানের ঝলমলে কয়েকটি ইনিংস থাকলেও কেন যেন তিন অঙ্ক ছুঁতে পারছিলেন না আবাহনী অধিনায়ক। লিগের প্রথম পর্বের শেষ রাউন্ডে এসে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তামিম।
সিসিএসের দেওয়া ২০৬ রান তাড়া করতে নেমে ১২ ওভার শেষে আবাহনীর রান ১ উইকেটে ৬২। তামিম অপরাজিত ৩৯ বলে ৩২ রানে। এর পরই নামে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর খেলা শুরু হলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে আবাহনীর নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫ ওভারে ১৬৮ রান। ১২ ওভারে ৬২ রান করায় তখন সমীকরণ নেমে আসে ২৩ ওভারে ১০৬ রানে। এমন সমীকরণে জেতা কঠিন না হলেও তামিমের জন্য তিন অঙ্ক ছোঁয়াটা ছিল একটা চ্যালেঞ্জ।
চ্যালেঞ্জটা নিলেন তামিম। ৫৬ বলে করলেন হাফ সেঞ্চুরি। ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে খেললেন মাত্র ২৭ বল। কাভার ড্রাইভের নেশাতেই যেন পেয়ে বসেছিল বাঁহাতি ওপেনারকে। ৬৮ রান করেছেন বাউন্ডারি থেকে, অধিকাংশই মেরেছেন কাভার দিয়ে। সিসিএসের বাঁহাতি স্পিনার সালেহ আহমেদকে একবার মারলেন সোজা উড়িয়ে। বল উড়ে গিয়ে পড়ল বিকেএসপির পাঁচিলের ওপারে!
তামিমকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন নাজমুল হোসেন। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১৬০ রানের জুটিতেই সহজ এক জয় পায় আবাহনী। নাজমুল অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে।
রাজিন সালেহর ১৩৫ বলে ৯৫ ও সাইফউদ্দিনের ১০২ বলে ৫০ রানের সুবাদে সিসিএস অলআউট হয় ২০৫ রানে। তামিম-ইউসুফ পাঠান-সাকিব আল হাসানদের দলের বিপক্ষে এই রান যে কিছুই নয়, পরে সেটি ভালোই বুঝেছে সিসিএস।
টানা তিন ম্যাচে হেরে একটা পর্যায়ে সুপার লিগ খেলাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল আবাহনীর। একটা সময় সমীকরণ এমন ছিল, নিজেদের বাকি ৪ ম্যাচের প্রতিটিই জিততে হবে আকাশি-হলুদদের। নানা বিতর্ক ও সমালোচনা পেরিয়ে বিকেএসপিতেই একে একে গাজী গ্রুপ, প্রাইম দোলেশ্বর, প্রাইম ব্যাংক ও সিসিএসকে হারিয়ে দাপটের সঙ্গেই শেষ ছয়ে পা রাখল আবাহনী। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দলটি এখন দ্বিতীয় স্থানে।
একটা সময় যাদের সুপার লিগই ছিল অনিশ্চিত, তারাই এখন শিরোপার দৌড়ে বেশ এগিয়ে!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিসিএস: ৫০ ওভারে ২০৫ (রাজিন ৯৫, সাইফউদ্দিন ৫০, সালমান ১৬; সাকিব ৩/৩৫, তাসিকন ২/২২, আবুল হাসান ২/৩০)।
আবাহনী: ২৬.৪ ওভারে ১৭০/১ (তামিম ১০৫*, নাজমুল ৫৩*; নাজমুস ১/১৬, নাসুম ০/৩৪)।
ফল: আবাহনী ৯ উইকেটে জয়ী (ডি-এল)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল।
Share and Enjoy
Related News

শিরোপার রং ছড়াল যে মেয়েটি
ক্রীড়া প্রতিবেদক ০৭ অক্টোবর ২০১৮, দলের মধ্যে যে কোনো খেলোয়াড়কে যদি প্রশ্ন করা হয় সতীর্থRead More
Share and Enjoy

ভারত ‘অপ্রতিরোধ্য’, বাংলাদেশের দরকার কমপক্ষে ২৭৫ রান :
স্টেডিয়ামে আজ পর্দা নামবে এশিয়া কাপের। বাংলাদেশ-ভারতের ফাইনাল ম্যাচটি দিয়ে শেষ হবে এবারের এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বRead More