‘মেয়ের লাশ বিক্রি করে টাকা নিব না’

আবু ইউসুফ মিন্টু:-
পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মধুগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী পারভিন আক্তার (৮) কে ২০১১ সালের ২৫ জুন ধর্ষন করে হত্যা করে । পরদিন পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মামুন ও ইমনকে আটক করেছে। বর্তমানে দুই আসামী হাইকোট থেকে জামিনে রয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহত স্কুল ছাত্রীর পরিবার এখনো অপরাধীদের বিচারের আশায় রয়েছেন। নিহতের পারভিনের মায়ের বিশ্বাস তার মেয়ের হত্যার কারীদের বিচার হবেই। আদালতের বিচারক প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দিবেন।
চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি ফেনী জজ আদালতে স্বাক্ষগ্রহন চলছে। গত ফেব্রুয়ারী মাসে ঘটনাস্থলের দোকান মালিক জসিম, সেলিম, ঝাড়– মিয়ার স্বাক্ষ্য নিয়েছে আদালত। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, স্বাক্ষীরা অপরাধীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সত্য গোপন করার চেষ্টা করছেন।
নিহত স্কুল ছাত্রী পারভিনের মাকে অব্যাহতভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। বেসরকারী সংস্থ্যা ব্র্যাক মামলায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিলেও গত দু’এক বছর ধরে কর্মকর্তারা উল্টো মামলার বাদীকে নিরুৎসাহিত করছে। মামলাটি স্থানীয়ভাবে মিমাংশার জন্য একাধিকবার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা সহ বিভিন্ন মহল থেকেও হতাশ করেছে বলে নিহতের মা অভিযোগ করেন।
নুর নাহার বেগম জানান, গত কয়েকদিন আগেও কয়েকজন প্রভাবশালী তাকে বলেছেন এ মামলায় আসামীদের কিছুই হবেনা বরং মোটা অংকের টাকা জরিমানা আদায় করে দেওয়া হবে। মিমাংশা করলেই আর্থিক লাভবান হওয়া যাবে বলে প্রলোভন দেখায়। তিনি বলেন, মেয়ের লাশ বিক্রি করে টাকা নিব না দুনিয়ার আদালতে বিচার না হলেও আল্লার আদালতে হলেও বিচার হবেই।
পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ঘটনার পরদিন ২৭ জুন মো: মামুন ও ২৬ জুলাই তরিকুল ইসলাম প্রকাশ ঈমনকে গ্রেফতার করে। ২০১১ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার ২ আসামী তরিকুল ইসলাম প্রকাশ ঈমন জামিন পায়। ঘটনার পরপরই কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তির সহযোগিতায় পরশুরাম থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলিম আসামীদের বাঁচাতে নানা কৌশল করেন।
ঘটনার দিন স্কুল ছাত্রী বাড়ী ফিরার পথে মামুন ও ইমন জোর করে মামুনদের নির্মানাধীন বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক ধর্ষন করে পরে হত্যার পর ঘরের দরজার সামনে লাশ ফেলে রাখে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার পরদিন ২০১১ সালের ২৬ জুন পারভিনের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯এর (২) ধারা মামলার দায়ের করেন।
মামলা তুলে নিতে নিহত পারভিনের মাকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি সহ হত্যার হুমকী দেয়া হয়। এ ঘটনায় ২০১১ সালের ২৫ জুলাই তিনি সাধারন ডায়েরী করেন।
২০১১ সালের ১০ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো: আলিম স্কুল ছাত্রী পারভিন আক্তারকে ধর্ষন ও হত্যার অভিযোগে দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। চার্জশীটে তিনি নির্মানাধীন বাড়ীতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন শেষে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে প্রমানিত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন
Share and Enjoy
Related News

পরশুরামে ইয়াছিন শরীফ পুনরায় বিআরডিবির চেয়ারম্যান নির্বাচিত
পরশুরাম প্রতিনিধি,২০ ফেব্রুয়ারি: পরশুরাম কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি (বিআরডিবি) নির্বাচনে পরশুরাম উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ক্রিড়াRead More
Share and Enjoy

ফেনীর পরশুরামে প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে রাবার উৎপাদন
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ নিজ উদ্যোগে ২০১০ সালে ২৫ একর জমিতে রাবার বাগান গড়ে তোলেন ফেনীরRead More