
গাজাগামী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় সামরিক অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুই অজ্ঞাত মার্কিনি গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিবিএস নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই দুই কর্মকর্তা জানান, নেতানিয়াহুর সম্মতিতে ইসরাইলি বাহিনী একটি সাবমেরিন থেকে ড্রোন ছুড়েছে এবং জাহাজগুলোতে অগ্নিসংযোগকারী ডিভাইস ফেলেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে তিউনিসিয়ার সিদি বো সাইদ বন্দরের বাইরে, যেখানে ৭ সেপ্টেম্বর পৌঁছানোর পর নৌবহরটি এক সপ্তাহের জন্য আটকে ছিল।
এদিকে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সাহায্যের বহর নিয়ে রওয়ানা হওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহরের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরাইল। জোর করে ইসরাইলি নৌসেনারা বহরে ঢুকে পড়ে এবং অসংখ্য আর্ন্তজাতিক কর্মীকে আটক করে।
ফ্লোটিলা কর্মীরাও ইসরাইলি বাহিনীর ড্রোন হামলার বর্ণনা করেছেন, যা দুই দিনের মধ্যে দুবার ছোড়া হয়েছে বলে জানান তারা। তারা এও জানান, গাজায় ফ্লোটিলার জাহাজ যাতে পৌঁছাতে না পারে সেজন্য মিশন ব্যাহত করতে ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে এই প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
তিউনিসিয়া এই ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছে, যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো নির্দিষ্ট দল বা দেশকে অভিযুক্ত করেনি।
এক বিবৃতিতে, ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে ইসরাইলি নৌবাহিনী এখন আমাদের ৪২টি জাহাজের সবকটিকেই অবৈধভাবে আটক করেছে, প্রতিটিতে মানবিক সাহায্য, স্বেচ্ছাসেবক এবং গাজায় ইসরাইলের অবৈধ অবরোধ ভাঙার দৃঢ় সংকল্প ছিল।’
তবে, ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ৪০টি জাহাজের মধ্যে কেউই মানবিক সাহায্য বহন করছিল না।
সূত্র: দ্য জেরুজালেম পোস্ট