
ফেনী জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলায় দর্শকদের হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। ফলে আজ ২৩ অক্টোবর স্থাগিত হলো টুর্নামেন্ট ।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফেনী শহরের ভাষা শহীদ আবদুস সালাম স্টেডিয়ামে এই ঘটনা ঘটে। এর ফলে বৃহস্পতিবারের ফেনী সদর উপজেলা দল ও ছাগলনাইয়া উপজেলা দলের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে ভাষা শহীদ আবদুস সালাম স্টেডিয়ামে সোনাগাজী উপজেলা দল ও ফুলগাজী উপজেলার মধ্যে খেলা হয়েছিল। খেলায় সোনাগাজী উপজেলা দল ৪-২ গোলে জয়লাভ করে। খেলা শেষে সোনাগাজীর দর্শকরা হুড়োহুড়ি করে মাঠে প্রবেশ করেন। এ সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবারের ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য ফেনী সদর উপজেলা দলের খেলোয়াড়রাও মাঠে ঢোকেন। এক পর্যায়ে সদরের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সোনাগাজীর দর্শকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-প্রতিধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধ জনতা সোনাগাজী উপজেলা দলের খেলোয়াড়দের যাতায়াতে ব্যবহৃত কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসের কাচ ভাঙচুর করে। হামলায় ফেনী সদর উপজেলা দলের খেলোয়াড় নিশাতসহ আরও ১২ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে হামিম, রকি, আরমান, জুবায়ের, আরিফ ও আবদুল্লাহর নাম জানা গেছে। তারা সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগেন চাকমা জানান, এই ঘটনায় হামিম নামের এক দর্শক গুরুতর আহত হয়ে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সোনাগাজী থেকে আসা যাত্রীবাহী কয়েকটি বাসও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে একটি বাস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসমাঈল হোসেন জানান, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের ফেনী সদর উপজেলা দল ও ছাগলনাইয়া উপজেলা দলের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, মাঠে সংঘর্ষের পরপরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।