
চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পাত্রী দেখে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক, সিএনজি বেবিট্যাক্সি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে মা–বাবাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পাত্রসহ আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। সোমবার সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম-লাকসাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা পশ্চিমপাড়া এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—নাঙ্গলকোট উপজেলার মহেশ্বর গ্রামের আবুল বাশার, তাঁর স্ত্রী মোরশেদা বেগম এবং সিএনজি চালক চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার নাটাপাড়া গ্রামের মমতাজ মিয়া (৩৬)।
আহতের মধ্যে রয়েছেন—নিহত আবুল বাশারের ছেলে আবু তৈয়ব, নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম, অটোচালক মাহবুবুল হক, আবুল কালামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও আরও একজন অজ্ঞাত পরিচিত ব্যক্তি। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাগরিবের নামাজের কিছুক্ষণ আগে লাকসামগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি বেবিট্যাক্সি ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি ও অটোরিকশাটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই পুরুষ ও একজন নারী নিহত হন।
খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নেন। গুরুতর আহত পাঁচজনকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উদ্ধার কাজ শেষ করে।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাফেজ মর্তুর্জা ও নাসরিন বেগম জানান, সড়কের মোড়ে গতি নিয়ন্ত্রণ না করা এবং চালকদের অসচেতনতার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, “আমরা পৌঁছে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। আহত কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লায় পাঠানো হয়েছে।”
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”